তৃতীয় শ্রেণির চাকরির প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন
তৃতীয় শ্রেণির চাকরি বলতে ১১-১৬ গ্রেডকে বুঝায়।
চাকরির প্রস্তুতি শুরু করার আগে আপনাকে ছোট ছোট কিছু বিষয় শেয়ার করি।
![]() |
| তৃতীয় শ্রেণির চাকরির প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন |
তৃতীয় শ্রেণির চাকরি নিদিষ্ট কিছু প্যাটার্ন ফলো করে যা বিসিএস এর মতোন কম্পিটিটিভ পরীক্ষা থেকে তুলনামূলক অনেক কম এবং সীমিত।
অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াকালীন সময়ে আপনি ছোট কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই এই প্রস্তুতি খুব সহজ হবে।
ক্যারিয়ার কি? ক্যারিয়ার ভাবনা এবং কিছু সহজ কথা
তৃতীয় শ্রেণির চাকরির জন্য আপনি প্রথম বর্ষ থেকে টুকটাক পড়লেই অনেক গুছিয়ে নিতে পারবেন।
যেমন প্রতিদিন পত্রিকা পড়লেন, মাসে একটা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়লেন।
তৃতীয় শ্রেণির চাকরির সিলেবাস
তৃতীয় শ্রেণির চাকরির পরীক্ষা সাধারণ লিখিত হয়। ৭০- ৯০ নাম্বারের পরীক্ষা হয়
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়।
( ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর পদের জন্য আলাদা করে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি পড়তে হবে)
বাংলা
বাংলা থেকে ২৫ নাম্বারের প্রশ্ন হয়। এখানে সন্ধি, সমাস, কারক ও বিভক্তি, বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ, বানান শুদ্ধি থাকে।
নবম - দশম শ্রেণির মুনীর স্যারের বইটা বেস্ট।
এই বইটা শুরুতে চিরতার মতোন তিতা লাগতে পারে। আপনি প্রথমেই মুখস্থ করতে যাবেন না। প্রতিদিন ৩০ মিনিট রিডিং পড়ুন। ধীরে ভালোলাগা খুঁজে পাবেন....
ইংরেজি
ইংরেজি অংশ থেকেও ২০-২৫ নাম্বারের প্রশ্ন হয়।
এখানে থাকে
Phrase & idioms থেকে ৫ নাম্বার থাকে অর্থ জানতে চায় বা কখনো অর্থসহ বাক্য রচনা করতে বলে।
Preposition থাকে ৫ নাম্বার এবং শূন্যস্থান পূরন আকারে প্রশ্ন হয়।
বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ বা
ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ
এবং যেকোনো একটি বিষয়ে ৫-১০ বাক্যে ইংরেজি বাক্য রচনা করতে বলা হয়। যেমন পদ্মা সেতু , বাজেট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মেট্রোরেল, ইনফ্লাশন ইত্যাদি বিষয়ে ফোকাস করে রচনা লিখতে বলা হয়।
গণিত
গণিতের জন্য স্কুলের ৭-১০ শ্রেণির বইগুলো বইবেল স্বরুপ। বইগুলোর বাংলা লিখা গুলো পিপড়ার মতোন পড়তে হবে। বুঝে বুঝে উদাহরণসহ অনুশীলন করতে হবে।
যেই টপিক গুলো অনুশীলন করবেনঃ
শতকরা, লাভ ক্ষতি, সুদ কষা, অনুপাত সমানুাত, ঐকিক নিয়ম, উৎপাদক, মান নির্নয়
এবং জ্যামিতি অংশ থেকে কম প্রশ্ন হয়। কোনো একটা সংঘা জানতে চাইতে পারে বা কোণের মান।
সাধারণ জ্ঞান
বিশ্বে চলমান সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহে নজর রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর, থেকে শুরু করে সব কিছু খুব ভালোভাবে পড়তে হবে।
এক্ষেত্রে এমপিথ্রি বইটি আমার খুব পছন্দের।
সঙ্গে নবম -দশম শ্রেণির বাংলদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইটি খুব উপকারী।
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
Easy কম্পিউটার বইটি খুবই চমৎকার। পাশাপাশি কলেজের মুজিবুর রহমান স্যারের বইটি পড়ুন।
কিছু অতিরিক্ত কথা
আত্মনির্ভরশীলতা চমৎকার বিষয়। একটু ভাবেন বাবা যতোটা ভূমিকা রেখেছে কোন একদিন আপনি বাবা হয়ে গেলেন, বাবা আপনার সন্তান।
বিশ্বাস করেন আপনার কাঁধের পুরুত্ব বাড়বে, রাতে ভালো ঘুম হবে...
আপনার বাবার যতো টাকাই থাকুক আপনি কিছু একটা করুন নিয়ে আয় করুন।
পুরান আমলের টিউশন বা নতুন আমলের ভিডিও বানানো যা খুশি করেন।
পাশাপাশি বই পড়ুন। নিজেকে অলস না রেখে কাজ করুন। কাজ আপনাকে বড় করে তুলবে।
আর হ্যাঁ যদি অনার্স প্রথম বর্ষে থেকে একাডেমিক পড়ার পাশে প্রস্তুতি নেন তবে আপনি অতীতে পড়ে আসা স্কুলের বেসিককে সহজে মনে করতে পারবেন।
নিজেকে দক্ষ করেন, চাকরি আপনাকে খুঁজবে..
আজ, কাল বা পরশু চাকরি হবেই
ধৈর্য ধরে তপস্বী বকের মতোন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকেন...
জয় আপনার হবেই✌️
বিনীত
পূজা প্রমি দাস
ক্ষেত্র সহকারী
মৎস্য অধিদপ্তর

Thanks for your valuable suggestions. Need to know more. www.mhfzdigital.shop